পায়িতাথ আব্দুল হামিদ পর্ব-১১৫ বাংলা সাবটাইটেল
পায়িতাথ আব্দুল হামিদ
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটঃ
(২১ সেপ্টেম্বর ১৮৪২ – ১০ ফেব্রুয়ারি ১৯১৮) ছিলেন উসমানীয় সাম্রাজ্যের ৩৪তম সুলতান এবং তিনি ছিলেন সাম্রাজ্য শাসনকারী সর্বশেষ সুলতান। তিনি সুলতান আব্দুল মাজিদের পুত্র। ১৮৭৬-১৯০৯ সালের এই সময়ে মুসলিম বিশ্বের অভিভাবক ছিলেন উসমানি সুলতান দ্বিতীয় আবদুল হামিদ।মরণোন্মুখ খিলাফতের প্রাণ ফেরাতে নিজেকে বিলীন করে দিয়েছেন নিজেকে। পরোয়া করেননি কাউকে। কাউকেই ছেড়ে কথা বলেননি। নীতির প্রশ্নে তিনি ছিলেন আপোষহীন। স্বদেশী ও ভিনদেশি প্রশাসনিক ব্যক্তিরা তাঁর রক্তচক্ষু দেখলেই ভয়ে ঘাবড়ে যেত। এতে করে ঘরে-বাইরে সকলের চক্ষুশূলে পরিণত হয়েছিলেন।
সকলের চোখেই তিনি ছিলেন এক মূর্তিমান আতঙ্কের নাম! তার সময় উসমানীয় সাম্রাজ্যের তৎকালীন সময়ে অন্য সম্রাজ্য গুলো তুলনায় সামরিক ও অর্থনৈতিক সহ সকল ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকার পরে তার অসামান্য শাসনব্যবস্থা ও দক্ষতায় সাম্রাজ্যের অবকাঠামোগত উন্নয়ন সাধিত হয়।
এছাড়াও তার সময় উল্লেখযোগ্য হেজাজ রেলওয়ে কাজ সম্পন্ন হয়।এছাড়াও সারা দুনিয়ার মুসলিমদের একত্রিত করার জন্য তিনি একটি মুসলিম ইউনিয়ন গঠনের প্রচেষ্টা চালান। ১৮৯৪ সাল। দোলমা বাহচা রাজপ্রাসাদের প্রশস্ত আঙিনায় মধ্যমণি হয়ে বসে আছেন সুলতান দ্বিতীয় আবদুল হামিদ।
খিলাফতের মন্ত্রী, কমান্ডার, পাশা, সেনাপতি এবং আরও শতাধিক দেশি-বিদেশি কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ নিয়ে। খিলাফতের কোনো এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পরামর্শসভা চলছে। পুরো আঙিনা মুখরিত। সুলতানের মাথার উপর ছিল এক বিশাল ঝাড়বাতি। এই সময় শুরু হলো ভূমিকম্প। যেনতেন কোনো ভূমিকম্প নয়; ভূমিকম্পের আঘাতে পুরো রাজপ্রাসাদ থরথর করে কাঁপছিল। ঝাড়বাতিটা ঘড়ির দোলকের মতো ডানে-বামে ঘুরছিল।
প্রাণের মায়ায় সকলেই এদিক-ওদিক ছুটাছুটি শুরু করে দিলো। অথচ, এদের মধ্যে এমনও অনেক সেনাপতি, সৈনিক, বীর, কমান্ডার ও পাশারা ছিলেন, যারা বিভিন্ন রণক্ষেত্রে নিজেদের বাহাদুরি ও বীরত্বের নৈপুণ্য দেখিয়ে উসমানি খিলাফতের নাম জাগিয়েছেন। পুরো আঙিনা ফাঁকা হয়ে গেল। কিন্তু সুলতান একটুও নড়লেন না।
বসে রইলেন। তাঁর ঠোঁটদুটো শুধু নড়ছিল। বুঝা যাচ্ছিল, বিড়বিড় করে তিনি কুরআনের আয়াত তিলাওয়াত করছিলেন। ভূমিকম্প শেষ হওয়া পর্যন্ত তিনি এভাবেই পূর্ণ ভাবগাম্ভীর্যের সাথে বসে থাকলেন, আর তিলাওয়াত জারি রাখলেন।সুলতানের এমন তাওয়াক্কুল দেখে সকলেই অবাক!
তখনই সকলে বুঝতে পারল, শুধুমাত্র বাহ্যিকভাবে এই সুলতান একজন কঠিন প্রকৃতির লোক নন; অভ্যন্তরীণভাবেও তিনি একজন লৌহ-ইমানের লোক! মারাত্মক ভূমিকম্প যেখানে কতশত বীর-বাহাদুরের পিলে চমকিয়ে দিলো, সেখানে সুলতানের মনে কোনো ভাবান্তরই নেই! তিনি ছিলেন মুসলিমদের শেষ প্রতিরোধ শক্তি ও স্বাধীন খলিফা। একজন প্রকৃত খলিফার সব গুণাগুণসমৃদ্ধ এই মহান খলিফা ছিলেন ভঙ্গুর উসমানি খিলাফতের পুনর্জীবন দানকারী।
খিলাফতের শত্রুরা খুব ভালো করে উপলব্ধি করতে পেরেছিল যে, এই খলিফাকে না সরালে খিলাফতের কবর দেওয়া সম্ভব নয়। ইহুদি-খ্রিস্টানদের ষড়যন্ত্র ও পাশ্চাত্যের শিক্ষায় শিক্ষিত সেক্যুলারপন্থী তরুণ তুর্কি বিপ্লবরা তাকে মসনদ থেকে পদচ্যুত করে।
১৯০৮ সালে তরুণ তুর্কিরা একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাকে ২য় সাংবিধানিক রাজতন্ত্র চালু করতে বাধ্য করে। ক্ষমতার ভারসাম্য তরুণ তুর্কিদের দিকে চলে যায়।(পায়িতাথ আব্দুল হামিদ) নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে আনার জন্য সুলতানের অনুগত সৈনিকরা ১৯০৯ সালে একটি পাল্টা অভ্যুত্থান পরিচালনা করে কিন্তু ব্যর্থ হয়।
তাই তারা নানা অপবাদ আরোপ করে খলিফাকে ক্ষমতাচ্যুত করে নির্বাসনে পাঠায় এবং তার ছোট ভাই পঞ্চম মুহাম্মদ কে ক্ষমতায় বসায়। নির্বাসনে থাকা অবস্থায় ১৯১৮ সালে সুলতান দ্বিতীয় আব্দুল হামিদ মৃত্যুবরণ করেন। মূলত এভাবেই তারা উসমানি খিলাফতের কফিনে শেষ পেরেক এঁটে দেওয়ার নীলনকশা বাস্তবায়নের পথ সুগম করেছিল। উম্মাহ দরদি মুসলিম বিশ্বের খলিফা যাকে ইহুদিরা বায়তুল মুকাদ্দাস হস্তান্তরের জন্য ১৫০ মিলিয়ন পাউন্ড দিতে চেয়েছিল কিন্তু তিনি মুসলিম বিশ্বের একচুল মাটি ছাড়তেও রাজি হন নি।
Abdul hamid koto din por por porbo den
116 kokhon pabo
payath Sultan Abdul Hamid bangla season 4volume 115
payath Sultan Abdul Hamid bangla season4 full volume
১১৬ কবে দিবেন
Its very slow and the biggest problem is play
ভলিউম ১১৫ দেখেতে পারছি না।কি ভাবে play করবো
It’s very slow
Koi 15