in-page ads
Uncategorized

Haysultan 9

Haysultan 9 bangla Subtitles

রিভিউ!

আমরা শুরুতে দেখতে পাই, আশরাফ বে, যিনি নাকি আহত হয়েছেন, তিনি অজ্ঞান থেকে ফিরেছেন, এবং অজ্ঞান থেকে ফিরে তিনি দেখতে পাচ্ছেন, তিনি নিজের ঘরে, তিনি শোয়া থেকে উঠে অনেকক্ষণ চিন্তাভাবনা করলেন, এবং কিছু খাবার দাবার খেলেন, এরপর কিছুক্ষণ হাওয়া বাতাস খেয়ে, হঠাৎ ঘর থেকে বের হয়ে গেলেন।

ঘর থেকে বের হয়ে আস্তাবলে গিয়ে আব্দুল কাদের জিলানী এর ঘোড়াটিকে ছেড়ে দেয়, ঘোড়াটি দৌড়ে আব্দুল কাদের জিলানীর মাদ্রাসার দরজায় গেলে, আব্দুল কাদের জিলানী দরজা খুলে ঘোড়াটিকে গ্রহণ করে নেয়। এবং খুবই খুশি হয়। খুশিতে আশরাফ বেকে আব্দুল কাদের জিলানী ধন্যবাদ জানা। কিন্তু আশরাফ বে আব্দুল কাদের জিলানীর উপর রাগান্বিত হয়ে যায় এবং সেখান থেকে আশরাফ বে চলে আসে।

সকালে আশরাফ বে আমিরের সাথে দেখা করে, আমির আশরাফ বেকে জানায়, সে শীঘ্রই উজির হতে চলেছে, এবং এর পিছনে আশরাফ বের কৃতিত্ব রয়েছে। আশরাফ বেকে আমির আদেশ করে, তুরহানকেও কাজে লাগাতে, তাই আশরাফ বে তুরহানের কাছে যেতে নেয়, কিন্তু তুরহান নিজে থেকেই প্রাসাদে চলে আসে, এবং আশরাফ বেকে আব্দুল কাদের জিলানী সম্পর্কে কিছু একটা বলে।

যা শুনে আশরাফ বে দৌড়ে আব্দুল কাদির জিলানীর মাদ্রাসার সামনে কামারের দোকানে যায়। আমরা কামারের দোকানে দেখতে পাই, সেখানে আব্দুল কাদের জিলানীর মুরিদ খুব চিন্তা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, এবং কিছুক্ষণ পর আব্দুল কাদের জিলানী একটি বড় লাকড়ির বোঝা নিয়ে এসে লাকড়িগুলো দিয়ে তরবারি পোড়ানোর জন্য আগুন জ্বালানোর চেষ্টা করছেন। এটা সবাইকে চিন্তিত করছে।

এবং সেখানে আশরাফ বে দৌড়ে এসে বিষয়টি দেখতে পেয়ে আবার রাগান্বিত হন। আশরাফ বে বলেনঃ আমি শাস্তি আপনার মুরিদকে দিয়েছি আপনাকে নয়। আব্দুল কাদের জিলানী আশরাফ বেকে সেখান থেকে চলে যেতে বলেন।

এরপর আমরা দেখতে পাই, প্রাসাদের সেই মেয়েটি একটি ওষুধ তৈরি করে আশরাফ বের ক্ষত এর জন্য পাঠিয়েছে। আশরাফ বে ওষুধটি তার ক্ষততে লাগিয়ে হালকা ঘুমিয়ে পড়েন। তিনি ঘুমিয়ে পড়লে স্বপ্নে দেখতে পান, একটি কুকুর তাকে ধাওয়া করছে, এবং সে সামনে দৌড়াচ্ছে, দৌড়াতে দৌড়াতে মরুভূমির মধ্যে আব্দুল কাদের জিলানীর ঘোড়াটিকে দেখতে পায়। কুকুর থেকে বাঁচতে ঘোড়াটির উপর ওঠার জন্য ঘোড়ার দিকে দৌড়ানো শুরু করেন,

কিন্তু বালুর মধ্যে পা হোঁচট খেয়ে পড়ে যান তিনি। এমন সময় তার ঘুম ভেঙ্গে যায়, এবং সৈন্যরা এসে তাকে বলে আমির তাকে ডেকেছে। আশরাফ বে আমিরের উপস্থিতিতে গেলে, আমির আব্দুল কাদের জিলানীর কর্মকাণ্ডের জন্য রাগান্বিত হয়, কারণ জনগণ এ বিষয় নিয়ে কথাবার্তা বলছে যে, আব্দুল কাদের জিলানী মাদ্রাসা ছেড়ে আমিরের জন্য কামারের দোকানে কাজ করছে। এই বিষয়টি তাড়াতাড়ি বন্ধ করতে আশরাফ বেকে আদেশ দেয় আমির। তাই আশরাফ বে কামারের দোকানের দিকে ছুটেন।

অপরদিকে আমরা দেখতে পাই, কামারের দোকান থেকে টাকা নিতে ব্যবসাহী এসেছে, তামার তাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ প্রদান করলেও সেই ব্যবসাহী সে অর্থ নিতে চায় না। কামারের থেকে ৪০০ দিনার এর জায়গায় সে ৭০০ দিনার চেয়ে বসে। এমন সময় আব্দুল কাদের জিলানী ফতোয়া দেন এটি সুদ হচ্ছে। এ বিষয় নিয়ে জনগন সেই ব্যবসায়ীর উপর ক্ষেপলে, সেখানে আশরাফ বে চলে আসেন।

এবং বিষয়টি আদালতে উপস্থাপন করা হয়। শুরুতে সবাই ব্যবসাহীর দিকে কাজীর সামনে সাক্ষী দিলেও, হঠাৎ সেখানে ফয়সাল এফেন্দি একটি লোককে আসেন। লোকটি হচ্ছে সেই ব্যবসাহীর কাছ থেকে এমন প্রতারনার শিকার হয়েছে। এবং সেই ব্যবসায়ীর বিপক্ষে আদালতে কাজীর সামনে সাক্ষী দেয় লোকটি। এতে করে প্রমাণ হয় যে লোকটি সবার থেকে সুদ নেয়।

এরপর আমরা দেখতে পাই, প্রাসাদে যে মেয়েটি আমিরের পাশে কাজ করে, সেই মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়েছে, এবং তাই আশরাফ বের পছন্দের মেয়েটিকে সেখানে রাখা হয়েছে। এবং আমিরের কাছে উজিরে আজম আসেন। আমির অপেক্ষা করছিল তাকে উজির পদ দেওয়ার।

কিন্তু উল্টো উজিরে আজম এসে তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ব্যবসায়ীদের সাথে এমন আচরণ করার। কারণ ব্যবসায়ীরা উজির আজমের কাছে গিয়ে শহরে আর পণ্য আনবে না বলে দিয়েছে। এবং আমিরকে বলে তুমি এত কিছুর পরও উজির হওয়ার স্বপ্ন দেখছো? এই কথা শুনে আমির বুঝতে পারে, তার আর উজির হওয়া হচ্ছে না তাই তার মন খারাপ হয়ে যায়।

এই ঘটনাগুলোর মাধ্যমে হায় সুলতান আব্দুল কাদের জিলানী ভলিউমঃ ৫ এখানে শেষ হয়। আমরা সামনের ভলিউমে দেখতে পাবো, আমিরের কি হবে? আশরাফ বে কি চাচ্ছেন? আব্দুল কাদের জিলানী এর আধ্যাত্মিকতা। MORE

Watch English Subtitles

Server-1

Server-2

Telegram LINK

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Check Also
Close
Back to top button