in-page ads
Uncategorized

মাওলানা জালালুদ্দিন রুমি ভলিউম 7

মাওলানা জালালুদ্দিন রুমি ভলিউম 7


রিভিউ

ভলিউমের শুরুতে আমরা দেখতে পাই, বায়জু নয়ান তার ছেলে শিক্ষা দিচ্ছে, বায়জু নয়ান তার ছেলেকে বলছেঃ তুমি প্রয়োজনে তোমার বন্ধুকেও হত্যা করবে। বায়জু নয়ান তার ছোট কালের একটি কথা চিন্তা করে, সে ভাবে তার শিক্ষক তাকে শিক্ষা দিয়েছিলো, যেভাবেই হোক বাঁচতে হলে হত্যা করতে হবে।

এরপর আমরা দেই পাই, মাওলানা জালালুদ্দিন রুমির উপর আক্রমণ হয়েছে, আর যা কিনা একটি পরিকল্পনা ছিল, পরিকল্পনা অনুযায়ী বায়জু নয়ানের ছেলে সেক্তো তার বন্ধুকে হত্যা করতে ফেলার চেষ্টা করে, কিন্তু সে পরিপূর্ণ সফল হয় না, বায়জু নয়ানের ছেলে সেক্তোকে সেলজুক সৈন্যরা বন্দি করে ফেলে, এবং তার বন্ধুকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

এরপর আমরা দেখতে পাই, মাওলানা জালালুদ্দিন রুমি হাসপাতালে সবার দেখা শুনা করতে এসেছেন, সেখানে তিনি একটি বাচ্চাকে আদর করেন, কিন্তু সেখানের কেউ মাওলানা জালালুদ্দিন রুমিকে পছন্দ করেন না, কারণ তাদের মধ্যে ভুল কথা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে যে, মাওলানা জালালুদ্দিন রুমি নাকি মঙ্গলদের সামর্থ্যন করছেন।

যা বুঝতে পেরে মাওলানা জালালুদ্দিন রুমি কান্নায় ভেঙে পড়েন, এবং এরপর তাকে তার ভাবনা সান্ত্বনা দেন, তার ভাবনা যা তার সাথে কথা বলে, সে বলেঃ “লা তাহজান” দুঃখিত হবেন না। এবং আরো উৎসাহ মুলক কথাবার্তা উপস্থাপন করেন।

সেক্তোকে বন্দি করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।তাকে বিভিন্নভাবে স্বীকারোক্তির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু সে জানাই সে মাওলানা জালালুদ্দিন রুমি এর সাথে দেখা করতে এসেছে, তার থেকে জ্ঞান শিখতে এসেছে। তাই তাকে বন্দী রাখা হয়।

এদিকে, উজির আলি বুঝতে পারেন যে জনগণের মধ্যে উস্কনিমূলক কথাবার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, এ কাজটি যারা করছে তাদের উদ্দেশ্য সুলতানকে তার জায়গা থেকে সরিয়ে তাদের সুলতান হওয়া।

আমরা এরপর দেখতে পাই, মাওলানা জালালুদ্দিন রুমির দুই ছেলে, আলাউদ্দিন ও বাহাউদ্দিন দাবা খেলছে, দাবাতে আলাউদ্দিন জিতে যায়, এবং বাহাউদ্দিন হেরে যায়।

সে এতে একটু কষ্ট পেয়ে একা একা বসে নিজের মধ্যে কষ্টকে বুনতে থাকে, মাওলানা জালালদ্দিন রুমি শেখান দিয়ে যাওয়ার সময় তার ছেলে বাহাদ্দিনকে কষ্ট পেতে দেখলে তাকে নসিহত করেন, এবং বলেন তুমি ভাবছো তুমি একাই সমস্যার মধ্যে আছো, কিন্তু এমন লোকও আছে যারা তোমার সমস্যাকে রহমত মনে করে। নসিহতের মাধ্যমে বাহাউদ্দিন কিছুটা নিজের মধ্যে স্বস্তি ফিরে পায়।

ওমর আতাবেক, যিনি কিনা মাত্র এরজুরুম দুর্গ জয় করে এসেছেন, যা মঙ্গলরা সেলজুদের থেকে কেড়ে নিয়েছিল। তিনি কোনিয়া প্রাসাদে এসে উজির আলী এর সাথে দেখা করেন, এবং তাকে সুলতানের সাথে তাড়াতাড়ি দেখা করানোর জন্য বলেন। তিনি বলেন না হয় সেলজুক সাম্রাজ্য ধ্বংস হয়ে যাবে।

তাই সুলতানের সামনে ওমরকে উপস্থিত করা হয়। ওমর বলেনঃ আপনার শহরে তিনজন লোক রয়েছে যারা কিনা গুপ্তচর। তাদের পরিকল্পনা হচ্ছে আমাদেরকে যুদ্ধে নিয়ে যাওয়া। আর এর মাধ্যমে বায়জু নয়ান যুদ্ধের জন্য আমাদেরকে তার ইচ্ছামতো ফাঁদে টানবে, এবং আমরা সংখ্যায় বেশি হলেও তাদের কাছে পরাজিত হবো। সুলতান অনেকক্ষণ চিন্তা করে সিদ্ধান্তে পৌঁছায় যে, আমিরদের থেকে চিঠি না আসা পর্যন্ত যুদ্ধ বন্ধ রাখবেন।

এবং সেই গুপ্তচরদেরকে ধরার দায়িত্ব সুলতান ওমরকে দেয়, এবং ওমর তার সৈন্যদেরকে সেই দায়িত্বে পাঠিয়ে দেয়। এবং তাদেরকে বলে দেয় প্রতিটা মানুষকে তল্লাশি করতে সন্দেহ হয় এমন। এবং কাউকে কষ্ট না দিতে বলে দেন।

এদিকে কোনিয়া প্রাসাদে একটি মেয়ের আগমন হয় যে কিনা মাওলানা জালালদ্দিন রুমি এর বিপক্ষে প্রাসাদে কথা বলা সেই মন্ত্রীর মেয়ে।

এদিকে উজির আলি গুপ্তচরদের খবর পেয়ে তার প্রিয় মাওলানা জালালদ্দিন রুমি এর যেন কোনো ক্ষতি না হয়, তার সাথে তাই দেখা করতে যায়। উজির আলি মাওলানা জালালুদ্দিন রুমির কাছে গিয়ে বলে আপনি তো মাদ্রাসায় সবাইকে টেনে নেন। কিন্তু এখন সময়টা ভিন্ন তাই যে কাউকে আপনি মাদ্রাসা আমন্ত্রিত করবেন না। কিন্তু জালালদ্দিন রুমি এটি করতে পারবেন না জানিয়ে দেন।

এদিকে সেই মন্ত্রী খবর পায় যে, যে ব্যক্তিকে শুরুতে আহত করা হয়েছিল, সে জ্ঞানে ফিরেছে, তাই তিনি তার সাথে দেখা করতে চলে যান। এবং তাকে জিজ্ঞেস করেঃ তুমি কে? তখন সে বলে আমি কে সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমাকে যে হত্যা করতে চেয়েছে সে গুরুত্বপূর্ণ। সে হচ্ছে বায়জু নয়ান এর ছেলে সেক্তো। কথাটি শুনে মন্ত্রীর মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে, সে এটির সুযোগ নেওয়ার জন্য পরিকল্পনা করে।

পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার জন্য মন্ত্রী সেক্তো এর কাছে যায়, এবং তাকে জিজ্ঞেস করে, তুমি এখানে কেন এসেছো? তখন সে বলে আমি মাওলানা জালালদ্দিন রুমি এর কাছে জ্ঞান শিখতে এসেছি, তখন সে তাকে ছেড়ে দেয়, এবং বলেঃ যাও তুমি তোমার মাওলানা এর কাছে যাও।

এরপর আমরা দেখতে পাই মাওলানা জালালদ্দিন রুমি জনগণকে নসিহত করছেন, তিনি একটি ফোটা সম্পর্কে বলছিলেন, তিনি বলছিলেনঃ সমুদ্রের মধ্যে থাকা একটি ফোটা বিভিন্ন পাহাড়-পর্বত জমিকে তার অন্যান্য ফোটা যারা তার বন্ধু হাত-পা এর সাথে তাদের সাথে একসঙ্গে হয়ে এগিয়ে চলে। কিন্তু একটি ফোঁটা যে কিনা এগিয়ে চলতে পারে না কিন্তু তবুও সে তার ভিতর আকাঙ্ক্ষা পোষণ করে সমুদ্র পর্যন্ত যাওয়ার। more

শেষে আমরা দেখতে পাই, সেক্তো মাওলানা এর কাছে এসেছে, সে মাওলানা জালালদ্দিন রুমিকে বলে আমি আপনার কাছে জ্ঞান শিখতে চাই, এটি আমার আকাঙ্ক্ষা। তখন মাওলানা জালালদ্দিন রুমি তাকে জিজ্ঞেস করেঃ তুমি কি পড়তে পারো? তখন সে জবাব দেয়ঃ না।

তখন তিনি জিজ্ঞেস করেনঃ তুমি কি লিখতে পারো? তখন সে জবাব দেয়ঃ না। মাওলানা জালালুদ্দিন রুমি জিজ্ঞেস করেন তুমি তাহলে এখানে কিছুই পারবে না, তোমাকে আগে শিখতে হবে। তখন সে উত্তর দেয়ঃ আমি জানি আমি পারিনা। কিন্তু আমার নিজেকে জানার ইচ্ছা। এই কথা শুনে জালালদ্দিন রুমি তার ভাবনা এর কথা চিন্তা করে তাকে গ্রহণ করে নেই।

এই ঘটনাগুলোর মাধ্যমে ভলিউমটি এখানেই শেষ হয়। আমরা সামনের ভলিউম এ দেখতে পাবো, সেক্তো মাওলানা জালালুদ্দিন রুমি এর সাথে থেকে কি করবে? মাওলানা জালালুদ্দিন রুমি এর জন্য কি বিপদ অপেক্ষা করছে? more

SERVER-1

SERVER-2

SERVER-3

Telegram link

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button