ভিডিও দেখতে নিচে যান

(ফিরে দেখা)

রিভিউ টা লেখার ইচ্ছে ছিলো না।কিন্তু এতো ভালো একটা এপিসোডের রিভিউ না লিখলে অন্যায় হয়ে যেতো বোধহয়।
এরচে ভালো এপিসোড হতে পারে না আসলে।গত পর্বে ছিলো একটি দুর্দান্ত যুদ্ধ, যেখানে রোমের সেনাবাহিনী আর কমান্ডার পিয়েত্রো কে পরাজিত করেছিলেন অরুচ রেইস।অরুচের সহায়তায় এগিয়ে এসেছিলো উসমানি নৌবাহিনী ও বুরাক রেইস।

 

 

 

 

 

 

এদিকে হায়রাবের ব্যর্থতার কারণে শহরে নতুন আমির নিয়োগ দেয় মামলুক সাম্রাজ্য।
নতুন আমির নিয়োগের মাধ্যমেই শুরু হয় দুই শক্তির দ্বন্দ্ব।

 

 

 

 

 

 

 

 

মামলুক ও উসমানিয় দ্বন্দ্বঃ
মোঙ্গলদের পরাজিতকারী আর ক্রুসেডারদের ত্রাস এককালের মামলুক রা ক্রমান্বয়ে হয়ে উঠে অত্যাচারী আর নিপীড়ক।স্বার্থের সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে তারা।মুহতারাম আলি সাল্লাবি তার বইয়ের বিষয়টি মোটেও এড়িয়ে যাননি।উসমানিদের সাথে দ্বন্দ্ব শুরু তখন থেকেই। সেই রেশ ছড়িয়ে পড়েছে ভূমধ্যসাগরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বন্দর নগরী আলেকজান্দ্রিয়াতে’ও।ঘটনাক্রমে অরুজ রইস ও তার ভাইয়েরা হয়ে গেলেন এ দ্বন্দ্বের বলী।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

বারবারোসা ভাইদের ক্ষমতা লাভঃ
এ এপিসোডের সেরা মূহুর্ত বলা যায় এটিকে,যখন উসমানি নৌবাহিনীর কমান্ডার বুরাক রইস মামলুকিদের অত্যাচার থেকে বাঁচিয়ে অরুজ রইস আর ইসহাক আগাকে উসমানি ক্ষমতা দান করেছিলেন। ইসহাক আগা হয়ে গেলেন নিজ জন্মভূমি মিডিল্লির গভর্নর,রাজনৈতিকভাবে এ নগরীর গুরুত্ব ছিলো আকাশস্পর্শী।কালিম্নোস জয়ের ক্ষেত্রে এটি হবে গুরুত্বপূর্ণ রুট।অন্যদিকে অরুজ রইস আনুষ্ঠানিকভাবে উসমানিদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হলেন,সেইসাথে আলেকজান্দ্রিয়ার উসমানি হাইকমিশনারের দায়িত্বও তার হলো।বারবারোসা ভাতৃদ্বয়ের জন্য এ ক্ষমতা ছিলো তাদের কাঙ্খিত লক্ষঅর্জনের অন্যতম মাধ্যমে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

বুরাক রইসের চেহারা টা দেখলেই সম্মান আর ভক্তি উথলে পড়ে অন্তরের অন্তস্তল থেকে……কিলিজ বের শাহাদাত ও

 

 

 

 

 

 

 

স্বতন্ত্র শক্তির উত্থানঃ-
যুগে যুগে মুসলিমরা যেমন মুসলিমদের পথে কাটা হয়ে দাড়িয়েছে, অরুজ রইস ও তার ভাইদের ক্ষেত্রে এ রীতি অভিন্ন ছিলো।একসময়ের মর্দে মুজাহিদ কিলিজ বের বার্ধক্যবস্থায় তার ছেলে শাহিন নানাভাবেই অরুজের পথে বাঁধা হচ্ছিলো।এরই মাঝে আগমন ঘটলো কিলিজ বের অপর পুত্র শাহবাজের।যার মনে ইসলামের ছিটেফোঁটা অনুভূতি-ও নেই, যা ছিলো শাহিন বের অন্তরে।এসেই পিতাকে বিষ পান করিয়ে হত্যা করলো শাহবাজ। উয়ানিশে বাতেনি চরিত্রে অভিনয় করা এ অভিনেতার অভিনয় চমৎকার।কারণ,তার অভিব্যক্তি ও কার্যকলাপ আপনাকে তার মৃত্যু কামনা করতে বাধ্য করবে সর্বদা……
কিলিজ বের মৃত্যু টা ছিলো বেদনাদায়ক,এক অসহায় মুজাহিদের চলে নির্মম চলে যাওয়ার দৃশ্য দর্শকের মনে দাগ কেটেছে নিখুঁতভাবে……

 

 

 

 

 

 

ডেসপিনা আর যায়নেপের বিদায়ঃ-
ডেসপিনা চরম বিরক্তিকর একটা চরিত্র হলেও অরুজের সন্তান হারানো ছিলো পুরো সিরিজের হাহাকার।সন্তান হারানোর পর অরুজ তার স্ত্রীকেও হারালেন নির্মমভাবে……
অন্যদিকে যায়নেপের ”বিদায় হিজির! পুরো পরিবেশ কেই গুমোট করে তুলেছে,,,এ যেনো বিরহের এক মৌন পৃথিবী,, যার অধিবাসী শুধু যায়নাপ,, তার অশ্রুশিক্ত চোখের জ্বলে দর্শকের চোখের কোণেও সামান্য জ্বল এসে যে ভিড় করেছে সেটা নিশ্চিত……..

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সন্তান হারানোর বেদনাকে বুকে চাপা দিয়ে অরুজের ”আইভাল্লাহ” বলা, ভঙ্গুর দশা থেকে পিয়েত্রোর পুনরায় ফিরে আসা যেনো একই সূত্রে গাঁথা।ভগ্নদশা থেকেই নব উত্থান হয় মানুষের,তাই অরুজ আর পিয়েত্রো নতুনভাবে শপথ নিয়েছেন নিজেদের লক্ষ্য পূরণে…….
একজন হতে যাচ্ছেন সমুদ্রের সুলতান………..
অন্যজন হতে যাচ্ছেন সমুদ্র উপকূলের সিজার……..তাদের নতুন শপথ,পার্শ্বচরিত্র গুলোর বিদায় আর সর্বশেষে রহস্যময় সুন্দরীর আগমণের মাধ্যমে বারবারোসা প্রবেশ করলো মূল গল্পে………..

 

 

 

 

 

 

 

 

একদিকে বারবোসলার,অন্যদিকে রহস্যের আধার ইউনিটা…..
একদিকে মামলুক সালতানাত অন্যদিকে উসমানি খিলাফত…..
একদিকে হুঙ্কার ছাড়ছে সমুদ্রের তীব্র ঢেউ,অন্যপাশে এক নির্ভীক মহান মুজাহিদদের দল যাদের অন্তর আল্লাহর ভয়ে পরিপূর্ণ।

ক্রেডিট : আব্দুল্লাহ ফয়সাল

সাভার-১

 

 

 

 

সার্ভার ২ 1080 Full HD

 

সার্ভার-৩