Al Sancak 16
Al Sancak Episode 16 Bangla Subtitles
আল সানজাক ভলিউম ১৬ বাংলা
ভলিউমের শুরুতে আমরা দেখতে পাই, কমান্ডার আলীকে বোরান শট দিয়ে হৃদপিণ্ড চলা বন্ধ করে দিয়েছে, এতে তার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। তখন একটি ইনজেকশন পুশ করলে, সে তার নিঃশ্বাস ফিরে পাবে, এবং জীবন ফিরে পাবে, কিন্তু এটি বোরান করতে চায় না, সে চায় কমান্ডার আলী মরুক।
তাই তারা সেখান থেকে বেরিয়ে যায়, কিন্তু বাড়ির ভিতরে ফাঁদ পাতার করা বলে নাদিয়া বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে, সে ইনজেকশনটি পুশ করে কমান্ডার আলীর নিঃশ্বাস ফিরিয়ে দেয়। এবং তার জীবন বাঁচায়। এবং কিছুক্ষণ পর সেখানে নখর দল আসলে তারা কমান্ডার আলীকে রক্ষা করে। এবং নাদিয়া সেখান থেকে চলে যায়, এভাবে কমান্ডার আলী তার জীবন রক্ষা পায়।
এরপর আমরা দেখতে পাই, কমান্ডার আলীর সাথে সাজিদ পাশা একান্তে কথা বলছেন, সাজিদ পাশা আলী কমান্ডারকে জানায়, সে এলিজাবেথকে নাদিয়ার মা মনে করে না। তিনি এ বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করেন। এবং এই বিষয়টি পরীক্ষা করার জন্য নাদিয়াকে একটি কাজ করার জন্য আলীকে বলতে বলেন।
সাজিদ পাশা আলীকে বলে দেনঃ তুমি নাদিয়াকে একটি কাজ করতে বলবে, এই গানটি শোনো, এই গানটি আমি এবং গুলসেরেনের খুবই পছন্দের গান, গুলসেরেন অবশ্যই গানটি মনে রাখবে। নাদিয়াকে এই গানটি শুনাও, তাকে বলোঃ তার মার সামনে এই গানটি বাজাতে, সে বুঝে কিনা দেখো। তাহলে অনেকটা বুঝা যাবে বিষয়টি কতটুকু সত্য।
এরপর আমরা দেখতে পাই, আলী কমান্ডার নাদিয়ার সাথে দেখা করে, যখন আলী কমান্ডার সাজিদ কমান্ডারের সাথে এ বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলছিল, তখন নাদিয়া একটি টেক্সট মেসেজ পাঠাই, যেখানে সে বলেঃ আমরা যেখানে পার্টি করেছিলাম, সেখানে আসো। তাই সাজিদ কমান্ডার থেকে অনুমতি নিয়ে আলী কমান্ডার সেখানে চলে যায়। গিয়ে তার সাথে গল্প সোলভ করে। তার সাথে বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলে।
এবং আলী কমান্ডার নাদিয়াকে, জানাই সে এখন সবার কাছে মৃত। নাদিয়ার জন্যই, আলী কমান্ডার এখন সবার কাছে মৃত হিসেবে প্রকাশিত হচ্ছে। এবং আলী কমান্ডার নাদিয়াকে, সাজিদ কমান্ডার এর সন্দেহ সম্পর্কে বলে। এতে করে নাদিয়া একটু ক্ষিপ্ত হয়, কারণ সে মানে তার মা এটিই। তারপর আলী কমান্ডার রোমান্টিক ভাবে নাদিয়াকে সেই গানটি শোনায়, এবং বলে তার মাকে শোনাতে, কিন্তু এতে রাজি হয় না নাদিয়া, কিন্তু তবুও নাদিয়া গানটি নিজের কাছে নিয়ে নেয়।
এরপর আমরা দেখতে পাই, আরাজ খুব টেনশনে আছে। কারণ আরাজ কমান্ডার আলীর বোন সেদেফকে ভালোবাসে, আর এটা কমান্ডার আলীকে সেদেফ এবং আরাজ গিয়ে জানিয়েছিলো। আলী কমান্ডার কোন উত্তর দেননি। কমান্ডার আলী বলেনঃ আমি বিষয়টি পরে তোমাদেরকে জানাবো।
কিন্তু এখনো কমান্ডার আলী জানাননি, তাই খুব চিন্তায় রয়েছে আরাজ। এগুলো নিয়ে আরাজ যখন চিন্তায় মগ্ন, তখন কমান্ডার আলী এসে আরাজকে ডাকে। আরাজ কমান্ডার এর সামনে গিয়ে বসে, এবং কমান্ডার আলী আরাজকে বলেঃ দেখো, আমি যুদ্ধে গেলে পরিবারের সবাই কতটা চিন্তায় পড়ে যায়।
আমি চাইনা এই চিন্তা আরো বেড়ে যাক। তুমি যদি আমার বোনের জন্য সব ত্যাগ করতে পারো, তাহলে সব ছেড়ে তাকে বিয়ে করতে পারো সমস্যা নেই। এসব কথা শুনে আরাজ অনেক হতাশার মধ্যে চলে যায়।
পারমানবিক বোমা সম্পর্কিত তথ্য খুঁজতে গিয়ে কিছু তথ্য সামনে আসে, সে তথ্য অনুযায়ী কিছু সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে বিমান বাহিনী থেকে একটি আক্রমণের প্রস্তুতি করা হয়। যেখানে এইলুল একজন সদস্য থাকেন, যিনি কিনা বোমা মেরে সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি উড়িয়ে দিবেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী বিভিন্ন ঘাঁটি উড়িয়ে দেওয়া হয়।
কিন্তু কিছু সন্ত্রাসী পাইলটদের উপর রকেট হামলা করে। এই হামলাটি সবাই পাস করে গেলেও, এইলুলের বিমানে একটি রকেট হামলা হয়। এবং সে সেখান থেকে প্যারাসুট দিয়ে মাটিকে ল্যান্ড করে। এবং তার জীবন বাঁচিয়ে নেয়। খবরটি পেলে নখর টিম সেখানে গিয়ে এইলুলকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষা করে, যে অবস্থায় এইলুল তার শেষ দোয়া করে নিয়েছিল মৃত্যুর জন্য। সেখান থেকে নখর টিম তাকে বাঁচিয়ে নেই।
এরপর আমরা দেখতে পাই, এলিজাবেথ নাদিয়াকে একটি দায়িত্ব দেয়। দায়িত্বটি হচ্ছে, বোমার একটি অংশ রয়েছে, তা নিয়ে একটি লোকের সাথে দেখা করতে হবে। সেটি জায়গা মত পৌঁছে দেওয়ায় হচ্ছে তার কাজ। কিন্তু বিষয়টিতে নখর টিম প্রবেশ করে। এবং নাদিয়া আলী কমান্ডার এর সাথে মিলে একটি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে। এবং লোকটিকে হত্যা করা হয়। এবং সেই জিনিসটি নিজেদের হাতে করে নেই নখর টিম।
এদিকে সাজিদ কমান্ডার একটি নতুন বিষয় জানতে পেরে যায় যে, গুলসেরেনের মতো দেখতে একটি মহিলা রয়েছে। তারা দেখতে প্রায় যমজ বোনের মত, এতটাই কাছাকাছি মিল তাদের। বিশ্বটিতে সবাই অনেক অবাক হয়। এবং এগুলো নিয়ে আরও তথ্য বের করার দায়িত্ব সাজিদ কমান্ডার বুশরা এবং আসলিকে দেন।
এবং সাজিদ কমান্ডারের পুরনো বন্ধু সেলেবিকে ডেকে সব খুলে বলে, এবং তাকে কিছু পরিকল্পনা সম্পর্কে বলে এবং সেগুলো বাস্তবায়ন করা দায়িত্ব দেয়। সেলেবি সাজিদ কমান্ডারকে কথা দেয় যে, এগুলো সব খুঁটিনাটিয়ে দেখবে। এবং এগুলো সব উৎখাত করবে।
এরপর আমরা দেখতে পাই নাদিয়া এবং আলী কমান্ডার যে পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন করেছে, সে পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন করার পরে নখর টিমের অন্যান্য সদস্যদের সাথে একত্রিত হয়েছেন। এবং তারা সবাই মিলে সেই জায়গাটা ত্যাগ করতে যাবে। এমন সময় তাদের উপর অতর্কিত একটি সন্ত্রাসী হামলা হয়।
সেটি কাটিয়ে উঠলে তারা বুঝতে পারে তারা আরো হামলার শিকার হতে পারে। তখন তারা পজিশন নিয়ে লুকিয়ে পাহাড়ের মধ্যে থাকে। তারা অপেক্ষা করতে থাকে হেলিকপ্টার আসার। কিন্তু হেলিকপ্টার আসার আগে আরও একটি বিশাল সন্ত্রাসী দল এসে সেখানে হামলা চালায়। এবং এতে নাদিয়া ও আলী কমান্ডার একটি পরিকল্পনা করে তাদের সবাইকে শেষ করে দিতে যায়, কিন্তু তাদের হামলা চলতে থাকে। more
এই ঘটনাগুলোর মাধ্যমে আল সানজাক ভলিউম ১৬ এখানেই শেষ হয়। আমরা সামনের ভলিউমে দেখতে পাব, কিভাবে নখর টিম সে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষা পাবে? এলিজাবেথের আসল চেহারা কি বেরিয়ে আসবে? আরাজ এখন কি করবে? more