in-page ads
Kurulus Osman Season 3

কুরুলুস উসমান ভলিউম ৬৮ বাংলা সাবটাইটেল

Kurulus Osman Episode 68 Bangla Subtitles

কুরুলুস উসমান ভলিউম ৬৮ বাংলা সাবটাইটেল

Kurulus Osman Episode 68 Bangla Subtitles

এপিসোডটি দেখতে নীচে যান

 

উসমানীয় সাম্রাজ্যের উসমানঃ ৬৫৬ হিজরি মোতাবেক ১২৫৮ খ্রিষ্টাব্দে এরতুগ্রুলের ছেলে উসমানের জন্ম হয়। উসমানের মাতার নাম ছিল হালিমা হাতুন। তিনি ছিলেন সেলজুক শাহজাদী। উসমানরা তিন ভাই ছিলঃ ১/ গুনদুজ ২/সাবচি ৩/ উসমান

তবে কিছু ইতিহাসবিদগণের মতে চারজন তার নাম বর্ণনা করা হয়েছে চারুবাতু নামে] তিনি যে-বছর জন্মগ্রহণ করেন, সে বছরই মঙ্গোলীয়রা হালাকু খাঁর নেতৃত্বে আব্বাসি খিলাফতের রাজধানী বাগদাদে আক্রমণ করে। এটি ছিল বেশ বড় এবং মর্মান্তিক একটি দুর্যোগ।

যাইহোক উসমান ছোট থেকে তীরন্দাজ এ পারদর্শী ছিলেন। তিনি ছোট থেকেই শিকারে বাবার সাথে থাকতেন। ভাইদের মধ্যে তাকেই বেশি ভালোবাসতেন এরতুগ্রুল। সময়ের সাথে সাথে যত বড় হচ্ছিলেন ততো সাহসী হচ্ছিলেন। তার বাবার মৃত্যুর পর, তিনি সেই আসনে অধিষ্ঠিত হন। কুরুলুস উসমান ভলিউম ৬৮ বাংলা সাবটাইটেল

শুরু হয়ে যায় এক মহা সাম্রাজ্যের স্বপ্ন। শুরু হয়ে যায় কাফেরদের বিরুদ্ধে লড়াই। শুরু হয়ে যায় ইসলামের পতাকা জমির পর জমি লাগিয়ে দেওয়ার জিহাদ। উসমানের নেতৃত্বসুলভ উল্লেখযোগ্য গুণাবলিঃ উসমানের জীবন নিয়ে ভাবতে গেলে আমাদের সামনে তার ব্যক্তিত্বের কয়েকটি গুণ ভেসে ওঠে। যেমন: তিনি ছিলেন একজন দক্ষ সেনাপতি, বিজ্ঞ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তার সবচেয়ে গুরুত্ববহ এবং উল্লেখযোগ্য গুণাবলি হচ্ছেঃ কুরুলুস উসমান ভলিউম ৬৮ বাংলা সাবটাইটেল

[১] বীরত্ব : ৭০০ হিজরি মোতাবেক ১৩০১ খ্রিষ্টাব্দে কনস্টান্টিনোপলের বুরুসা, মাদানুস, আদ্রানুস, কাত্তাহ, কাস্তালাহ প্রভৃতি অঞ্চলের খ্রিষ্টান রাজারা উসমানি সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা উসমান বিন আরতুগ্রুলের বিরুদ্ধে ক্রুসেডের ডাক দেয়।কুরুলুস উসমান ভলিউম ৬৮ বাংলা সাবটাইটেল

খ্রিষ্টানরা এতে ব্যাপকভাবে সাড়া দেয় এবং এই উঠতি সালতানাতের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শপথ গ্রহণ করে। উসমান তার সৈন্যদল নিয়ে এগিয়ে যান। যুদ্ধের ময়দানে অসীম বীরত্ব প্রদর্শন করে তিনি ক্রুসেড-যোদ্ধাদের বিচ্ছিন্ন করে দেন। তার বীরত্ব উসমানিদের কাছে দৃষ্টান্তস্বরূপ হয়ে যায়। কুরুলুস উসমান ভলিউম ৬৮ বাংলা সাবটাইটেল

[২] হিকমত বা প্রজ্ঞা : স্বীয় গোত্রের নেতৃত্ব হাতে নেওয়ার পর তিনি ভেবে দেখলেন, খ্রিষ্টানদের বিরুদ্ধে সুলতান আলাউদ্দিনের সাথে মিলিত হয়ে সুসম্পর্ক বজায় রেখে অবস্থান করা বুদ্ধির কাজ হবে। তাই তিনি কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শহর এবং দুর্গ-জয়ে সুলতানকে সাহায্য করেন।

এর ফলে তিনি রোমের সেলজুক সুলতান আলাউদ্দিনের দরবারে আমির হওয়ার মর্যাদা লাভ করেন। তিনি তার অধীন অঞ্চলে সুলতানের নামে মুদ্রা চালু করেন এবং জুমার খুতবায় তার নামে দোয়া চালু করেন।

[৩] ইখলাস তথা একনিষ্ঠতা : উসমানের নেতৃত্বাধীন অঞ্চলের আশপাশের লোকেরা দ্বীনের জন্য তার ইখলাস এবং একনিষ্ঠতা উপলব্ধি করেছিলেন। তাই তারা ইসলামি সাম্রাজ্যের ভিত্তি সুদৃঢ়করণের লক্ষ্যে তার সমর্থন এবং তার সাথে অবস্থান করে ইসলাম এবং মুসলিমদের শত্রুদের বিরুদ্ধে মজবুত প্রাচীররূপে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। কুরুলুস উসমান ভলিউম ৬৮ বাংলা সাবটাইটেল

[৪] সবর তথা ধৈর্য : যখন তিনি বিভিন্ন দুর্গ এবং শহর জয় করা শুরু করেন, তখন তার এই গুণটি প্রকাশ পেতে শুরু করে। ৭০৭ হিজরিতে তিনি কাত্তাহ, লাফকাহ, আক্কে হিসার এবং কওজে হিসার দুর্গ জয় করেন। আর ৭১২ হিজরিতে কাবওয়াহ, ইয়াকিজাহ তোরাক্কু এবং তাকাররুর বিকারি দুর্গ জয় করেন।কুরুলুস উসমান ভলিউম ৬৮ বাংলা সাবটাইটেল

৭১৭ হিজরি মোতাবেক ১৩১৭ খ্রিষ্টাব্দে বুরুৎসা জয়ের মধ্য দিয়ে তিনি বিজয়যাত্রার শীর্ষচূড়ায় উঠেছিলেন। কয়েক বছরব্যাপী দীর্ঘ অবরোধের পর এই জয় ছিনিয়ে আনতে সক্ষম হন তিনি। বুরুসা জয় করা কোনো সহজসাধ্য কাজ ছিল না। বলা যায়, উসমানের অভিযানসমূহের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন ছিল এটি। এ সময় উসমান এবং বুরুসার অধিপতি ইকরিনুসের মাঝে কয়েক বছরব্যাপী কঠিন যুদ্ধ হয়। অবশেষে বুরুসার অধিপতি আত্মসমর্পণ করে উসমানের হাতে শহর তুলে দেয়। কুরুলুস উসমান ভলিউম ৬৮ বাংলা সাবটাইটেল

আল্লাহ তাআলা বলেন– يا ايها الذين امنوا اصبروا وصابروا و رابطوا واتقوا الله لعلكم تفلحون “হে মুমিনগণ, তোমরা ধৈর্যধারণ করো, তার ওপর অটল থাকো এবং পরস্পর সম্পর্ক স্থাপন করো। আর আল্লাহকে ভয় করো, যাতে তোমরা সফলকাম হও।” [সুরা আলে-ইমরান, আয়াত : ২০০] [

[৫] ইমানি জজবা : বুরুসার অধিপতি ইকরিনুসের সাথে যুদ্ধের সময় তার এই গুণের কথা জানা যায়। যুদ্ধ শেষে ইকরিনুস ইসলাম গ্রহণ করে। সুলতান উসমান তাকে ‘বেক’ উপাধি প্রদান করেন। এরপর সে উসমানি সালতানাতের প্রথম সারির সেনাপতিদের কাতারে পৌঁছে যায়। অনেক কনস্টান্টিনোপলিয়ান সেনাপতি উসমানের ব্যক্তিত্বে প্রভাবিত ছিলেন। তারা উসমানের দেখিয়ে যাওয়া পথ অনুকরণ করে উসমানি সালতানাতকে সমৃদ্ধ করেছিলেন। তখন অনেক মুসলিম সৈন্যদল উসমানি সালতানাতের পতাকাতলে একতাবদ্ধ হয়। তাদের মধ্যে ছিল গাজিয়ারোম অর্থাৎ রোমের একদল যোদ্ধা।কুরুলুস উসমান ভলিউম ৬৮ বাংলা সাবটাইটেল

তারা হলো এমন একটি মুসলিম সৈন্যদল, যারা আব্বাসীয় খিলাফতের সময় থেকে রোম সীমান্তে একতাবদ্ধভাবে অবস্থান করত এবং মুসলিমদের ওপর রোমীয়দের আক্রমণ প্রতিহত করত। তাদের এই পারস্পরিক সম্প্রীতি রোমের যুদ্ধে তাদেরকে আলাদা মর্যাদা দান করে। এতে করে ইসলামের ব্যাপক সমৃদ্ধি ঘটে এবং ইসলামি নিয়মকানুনের প্রসার ঘটে।

আরেকদল ছিল ইখওয়ান, অর্থাৎ ভাইদের দল। তারা ছিল অত্যন্ত ভালো একটি দল, যারা মুসলিমদেরকে সাহায্য করত, তাদের মেহমানদারি করত এবং যোদ্ধাদের সেবা করার জন্য সৈন্যদলের সাথে অবস্থান করত। এই দলের সিংহভাগ লোক ছিলেন ব্যবসায়ী। তারা ইসলামের খেদমতের জন্য তাদের সম্পদ ব্যয় করেছিলেন। যেমন : মসজিদ, সরাইখানা ইত্যাদি নির্মাণ করা।

উসমানি সালতানাতে তারা বেশ মর্যাদার আসনে আসীন ছিলেন। এই দলগুলোর মধ্যে একদল বিজ্ঞ আলেম ছিলেন; যারা ইসলামি সভ্যতার বিস্তৃতি এবং প্রচার-প্রসারে কাজ করেছেন। লোকদের ধর্মীয় জীবনযাপনে আগ্রহী করেছিলেন। আরেকদল ছিল হাজিয়াতে রোম, অর্থাৎ রোমের হাজিদের কাফেলা।

ইসলামি ফিকহ নিয়ে কাজ করত আরেকটি দল। তারা শরিয়তের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে গবেষণা করতেন। তাদের লক্ষ্য ছিল, সাধারণ মুসলিমদের সাহায্য করা। বিশেষত মুজাহিদদের সাহায্য করা। এ ছাড়া আরও অন্যান্য দলের লোকেরাও ছিল। কুরুলুস উসমান ভলিউম ৬৮ বাংলা সাবটাইটেল

[৬] ন্যায়পরায়ণতা : অধিকাংশ তুর্কি ইতিহাসগ্রন্থ হতে জানা যায়, ৬৮৩ হিজরি মোতাবেক ১২৮৫ হিজরিতে কনস্টান্টিনোপলের খ্রিষ্টানদের কাছ থেকে কুরুহজাহ দুর্গ জয় করার পর আরতুগ্রুল তার ছেলে উসমানের হাতে সে অঞ্চলের শাসনভার ন্যস্ত করেছিলেন। তখন উসমান তুর্কি মুসলিমদের বিপরীতে কনস্টান্টিনোপলের খ্রিষ্টানদের শাসন করেছিলেন। এতে অভিভূত হয়ে এক খ্রিষ্টান উসমানকে জিজ্ঞেস করেছিল, কীভাবে আপনি আমাদের কল্যাণ সাধন করেন, অথচ আমরা আপনার ভিন্ন ধর্মাবলম্বী? উসমান জবাব দিয়েছিলেন, আমি কেনইবা তোমাদের কল্যাণ কামনা করব না!

আমরা তো আল্লাহ তাআলারই ইবাদত করি। তিনি আমাদেরকে বলেছেন –

إن الله يأمركم أن تؤدوا الأمانات إلى أهلها وإذا حكمتم بين الناس أن تحكموا بالعدل

“নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের আদেশ দিচ্ছেন, তোমরা আমানতকে তার হকদারের কাছে পৌঁছে দাও এবং ন্যায়পরায়ণতার সাথে শাসন করো।” [সুরা নিসা : আয়াত ৮৮] তার এই ন্যায়পরায়ণতার কারণে লোকটি তার গোত্রসহ ইসলাম গ্রহণ করে। প্রথম উসমান তার বিজিত এলাকায় প্রজাদের সাথে ইনসাফভিত্তিক শাসন করেছেন। পরাজিত লোকদের ওপর তিনি কখনো জুলুম-অত্যাচার করেননি। তাদের ওপর জোরজবরদস্তি, সীমালঙ্ঘন এবং কঠোরতা করেননি।কুরুলুস উসমান ভলিউম ৬৮ বাংলা সাবটাইটেল

তাদের সাথে আল্লাহ তাআলার এই কথা অনুযায়ী আচরণ করেছেন—

أما من ظلم فسوف تعذبه ثم يرد إلى ربه فيعذبه عذابا ثكرا، وأما من أمن وعمل صلحا فله جزاء الحسنى وستقول له من أمرنا يسرا

‘যারা অত্যাচার করে আমি অচিরেই তাদের শাস্তি দেব। অতঃপর তাদেরকে তাদের প্রভুর কাছে প্রত্যাবর্তিত করা হবে। তিনি তাদের কঠিন শাস্তি দান করবেন। আর যারা ইমান আনে এবং সৎকর্ম করে, তাদের জন্য রয়েছে উত্তম প্রতিদান এবং আমি তাদেরকে সহজ কাজের আদেশ দেব।’ [সুরা কাহফ, আয়াত: ৮৭-৮৮]

আর আল্লাহ তাআলার নির্দেশিত এই পন্থা অনুযায়ী আমল করাই তার ইমান, আল্লাহভীরুতা, বুদ্ধি এবং মেধার কথা জানান দেয়। সেইসাথে আরও স্মরণ করিয়ে দেয় তার সততা, ন্যায়পরায়ণতা এবং দয়ার গুণাবলিকে।

[৭] বিশ্বস্ততা : অঙ্গীকার রক্ষা করাকে তিনি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতেন। কনস্টান্টিনোপলের উলুবাদ দুর্গের অধিপতি উসমানি সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করার সময় শর্ত দিয়েছিল, পুলের ওপর দাঁড়ানো কোনো মুসলিম সৈন্য যেন দুর্গে প্রবেশ না করে। তিনি তা মেনে নিয়েছিলেন।

আল্লাহ তাআলা বলেন – ‘তোমরা অঙ্গীকারসমূহ পূরণ করো। নিশ্চয় অঙ্গীকার সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে।’ [সুরা আল-ইসরা : আয়াত: ৩৪]

[৮] আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা : তার বিজয় অভিযানগুলো একমাত্র আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যেই পরিচালিত হতো। তার শাসন এবং বিজয় অভিযানসমূহ কোনো অর্থনৈতিক অথবা সামরিক ফায়েদার উদ্দেশ্যে ছিল না; বরং তা ছিল আল্লাহর দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছে দেওয়া এবং তার দ্বীন প্রচার করা।

এ জন্যই ইতিহাসবিদ আহমদ রফিক তার গ্রন্থ আত-তারিখুল আম্মিল কাবির-এ তাঁর সম্পর্কে বলেন— “উসমান ছিলেন চূড়ান্ত পর্যায়ের ধর্মভীরু। তিনি জানতেন ইসলাম ধর্মের প্রচার-প্রসার এবং তাকে সর্বজনীন করা একটি পবিত্র আবশ্যক কাজ। তিনি ছিলেন দূরদর্শী এবং দৃঢ় রাজনৈতিক চিন্তাবিদ। তিনি সুলতান হওয়ার লোভে তার সালতানাতের প্রতিষ্ঠা করেননি; বরং ইসলামের প্রচারের জন্য প্রতিষ্ঠা করেছেন।

” মিসর উগুলো বলেনঃ “উসমান বিন এরতুগ্রুল ছিলেন খাঁটি ইমানের অধিকারী। আল্লাহর কালিমাকে উঁচু করাই ছিল তার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য। তিনি তার সকল শক্তি ও বুদ্ধিমত্তা দিয়ে এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে তৎপর ছিলেন।” এগুলো ছিল প্রথম উসমানের কিছু উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য। Kurulus Osman Episode 68 Bangla Subtitles

কুরুলুস উসমান ভলিউম ৬৮ বাংলা সাবটাইটেল
কুরুলুস উসমান ভলিউম ৬৮ বাংলা সাবটাইটেল

আল্লাহ তাআলার প্রতি তার অগাধ বিশ্বাস, আখেরাত দিবসের জন্য তার প্রস্তুতি, আহলে ইমানের প্রতি তার ভালোবাসা, কাফের এবং পাপীদের প্রতি তার ঘৃণা, জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর প্রতি তার গভীর মহব্বত এবং সেদিকে আহ্বান করার মতো আরও এমন মহৎ সব গুণে তিনি ছিলেন গুণান্বিত। এ জন্যই উসমান এশিয়া মাইনর অঞ্চলে বিজয় অভিযানের সময় রোমের আমিরদেরকে তিনটির যেকোনো একটি শর্ত গ্রহণ করতে বলেছিলেন।  হয়তো তারা ইসলাম গ্রহণ করবে।

 

অথবা জিজিয়া প্রদান করবে। তিন, অথবা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করবে। তাই তাদের কেউ কেউ ইসলাম গ্রহণ করেছে। কেউ দ্বিতীয় শর্ত গ্রহণ করে জিজিয়া দিতে রাজি হয়েছে। আর বাকিদের বিরুদ্ধে কোনো আপোষ না করে তিনি জিহাদে এবং ছিনিয়ে এনে তার রাজত্বের সাথে বিশাল একটি এলাকা সংযুক্ত করেছেন।

আল্লাহ তাআলা এবং আখেরাতের প্রতি অটুট ইমান থাকার ফলে উসমানের ব্যক্তিত্ব ছিল মুগ্ধকর এবং সুষমামণ্ডিত। এ জন্যই তার শক্তি কখনো তার ইনসাফকে, তার রাজত্ব তার দয়াকে এবং তার ধনাঢ্যতা তার বিনয়কে পরাভূত করতে পারেনি। তাই তিনি আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার উপযুক্ত হয়েছিলেন।

আল্লাহ তাকে ক্ষমতার উপকরণ এবং বিজয়ের মাধ্যমে সম্মানিত করেছেন। এ ছিল আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে তার বান্দা উসমানের প্রতি অনুগ্রহ। অবশেষে আগস্ট ৯, ১৩২৬ সনে, ৩৮ বছর বয়সে তিনি এই ধ্বংসময় পৃথিবী ত্যাগ করেন, তাকে বুসরাতে সমাহিত করা হয় আল্লাহ তাআলা উসমান গাজীকে জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করুক (আমিন)

Kurulus Osman Episode 68 Bangla Subtitles

 

Kurulus Osman Episode 68 Bangla Subtitles

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button