কুরুলুস উসমান এপিসোড ৬৬ বাংলা সাবটাইটেল
কুরুলুস উসমান এপিসোড ৬৬ বাংলা সাবটাইটেল
আল্লাহ তাআলা বলেন – ‘তোমরা অঙ্গীকারসমূহ পূরণ করো। নিশ্চয় অঙ্গীকার সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে।’ [সুরা আল-ইসরা : আয়াত: ৩৪]
[৮] আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা : তার বিজয় অভিযানগুলো একমাত্র আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যেই পরিচালিত হতো। তার শাসন এবং বিজয় অভিযানসমূহ কোনো অর্থনৈতিক অথবা সামরিক ফায়েদার উদ্দেশ্যে ছিল না; বরং তা ছিল আল্লাহর দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছে দেওয়া এবং তার দ্বীন প্রচার করা।
এ জন্যই ইতিহাসবিদ আহমদ রফিক তার গ্রন্থ আত-তারিখুল আম্মিল কাবির-এ তাঁর সম্পর্কে বলেন— “উসমান ছিলেন চূড়ান্ত পর্যায়ের ধর্মভীরু। তিনি জানতেন ইসলাম ধর্মের প্রচার-প্রসার এবং তাকে সর্বজনীন করা একটি পবিত্র আবশ্যক কাজ। তিনি ছিলেন দূরদর্শী এবং দৃঢ় রাজনৈতিক চিন্তাবিদ। তিনি সুলতান হওয়ার লোভে তার সালতানাতের প্রতিষ্ঠা করেননি; বরং ইসলামের প্রচারের জন্য প্রতিষ্ঠা করেছেন।

” মিসর উগুলো বলেনঃ “উসমান বিন এরতুগ্রুল ছিলেন খাঁটি ইমানের অধিকারী। আল্লাহর কালিমাকে উঁচু করাই ছিল তার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য। তিনি তার সকল শক্তি ও বুদ্ধিমত্তা দিয়ে এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে তৎপর ছিলেন।”
এগুলো ছিল প্রথম উসমানের কিছু উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ তাআলার প্রতি তার অগাধ বিশ্বাস, আখেরাত দিবসের জন্য তার প্রস্তুতি, আহলে ইমানের প্রতি তার ভালোবাসা, কাফের এবং পাপীদের প্রতি তার ঘৃণা, জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর প্রতি তার গভীর মহব্বত এবং সেদিকে আহ্বান করার মতো আরও এমন মহৎ সব গুণে তিনি ছিলেন গুণান্বিত। এ জন্যই উসমান এশিয়া মাইনর অঞ্চলে বিজয় অভিযানের সময় রোমের আমিরদেরকে তিনটির যেকোনো একটি শর্ত গ্রহণ করতে বলেছিলেন। হয়তো তারা ইসলাম গ্রহণ করবে।

অথবা জিজিয়া প্রদান করবে। তিন, অথবা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করবে। তাই তাদের কেউ কেউ ইসলাম গ্রহণ করেছে। কেউ দ্বিতীয় শর্ত গ্রহণ করে জিজিয়া দিতে রাজি হয়েছে। আর বাকিদের বিরুদ্ধে কোনো আপোষ না করে তিনি জিহাদে এবং ছিনিয়ে এনে তার রাজত্বের সাথে বিশাল একটি এলাকা সংযুক্ত করেছেন।
আল্লাহ তাআলা এবং আখেরাতের প্রতি অটুট ইমান থাকার ফলে উসমানের ব্যক্তিত্ব ছিল মুগ্ধকর এবং সুষমামণ্ডিত। এ জন্যই তার শক্তি কখনো তার ইনসাফকে, তার রাজত্ব তার দয়াকে এবং তার ধনাঢ্যতা তার বিনয়কে পরাভূত করতে পারেনি। তাই তিনি আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার উপযুক্ত হয়েছিলেন। আল্লাহ তাকে ক্ষমতার উপকরণ এবং বিজয়ের মাধ্যমে সম্মানিত করেছেন।
এ ছিল আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে তার বান্দা উসমানের প্রতি অনুগ্রহ। অবশেষে আগস্ট ৯, ১৩২৬ সনে, ৩৮ বছর বয়সে তিনি এই ধ্বংসময় পৃথিবী ত্যাগ করেন, তাকে বুসরাতে সমাহিত করা হয় আল্লাহ তাআলা উসমান গাজীকে জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করুক (আমিন)
